>আচ্ছা তুমি এমন কেন?
>কেমন?
>কেমন বোকা বোকা?
>আমি এমনি
>আচ্ছা তুমি আমায় বিয়ে করেছো কেন?
>তোমাকে দেখে ভাল লেগেছিল তাই
>তুমি আমাকে ভালবাস?
>ভাল না বাসলে বিয়ে করতামনা
>তাহলে রাত্রে ঘুমানোর সময় অন্য দিকে মুখ ফিরে ঘুমাও কেন?
>তাহলে কিভাবে ঘুমাবো?
>যাও বাসা থেকে যাও
>কই যাবো?
>কই যাবা মানে?দোকানে যাও,আর আমার জন্য
দোকান থেকে চটপটি,ফোচকা,হালিম সবকিছু নিয়ে আসো।
>এত রাত্রে এগুলা কোথায় পাবো?
>কোথায় পাবা মানে?যেখান থেকে পারো নিয়ে আসবা,
যদি না আনতে পারো,রাত্রে বাসায় ডুকতে দিবোনা।
>তাহলে রাত্রে থাকবো কোথায়?
>ঐ যাবা?না.........
>ওকে যাচ্ছি।
নাহ এই ভিতুর ডিম ছেলেকে দিয়ে কিচ্ছু হবেনা।
যা করার আমাকেই করতে হবে।
~~~~
~~~~
আমি অত্তন্ত হিংসুটে,রাগী আর লুতুপুতু টাইপের একটা মেয়ে।
জীবনে কখনো প্রেম করিনি,আর আমার মত
একটা অশান্ত মেয়েকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে
কোন ছেলে তার গাল নষ্ট করবে।
বিয়ের আগ পর্যন্ত অনেক গুলো ছেলেকে
প্রেমের প্রস্তাব দেওয়ার কারনে থাপরিয়েছি।
কিন্তু কেন যে এই আন রোমান্টিক
ভিতুর ডিম ছেলেটাকে বিয়ের জন্য
হ্যা বলে দিয়েছিলাম,আমি নিজেই
এর কারনটা খুজে পাচ্ছিনা।এখন মনে হচ্ছে
জীবনের সবচেয়ে বড় ভুলটা করেছি
এই ভিতুর ডিম ছেলেটাকে বিয়ে করে।
বিয়ের আগে ভাবতাম যে,আমার বর আমাকে
নিতে আসবে সাদা ঘোড়ায় চড়ে রাজপুত্রের মত।
বাসর রাতে আমরা দুজন এক সাথে
আকাশের চাঁদ দেখবো,সে আলতো করে
আমার হাত স্পর্শ করবে,আমি তখন
লজ্জায় লাল হয়ে যাবো।বাসর রাতে
তার কোলে মাথা রেখে ঘুমিয়ে যাবো,
সারা রাত সে আমাকে নিয়ে বসে থাকবে।
বাসর রাতে সে আমার জন্য অনেক গুলো চূড়ি
নিয়ে আসবে।সে গুলো আমার হাতে
পড়িয়ে দিবে আর বলবে আই লাভ ইউ।
আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি নীরা।
কিন্তু সব কিছুই হল এর ঠিক উল্টো।
বিয়ের দিন আমার কাছে এমন মনে হল যে,
এই বাড়ি থেকে কনে নয় যেন লাশ যাচ্ছে।
বিয়ের দিন রাত্রে বাসর ঘরে বসে আছি।
রাত প্রায় ১টা বেজে গেছে কিন্তু আমার
বর মানে নিলয়ের আসার কোন খবর নেই।
কিছুক্ষণ পরে দেখলাম দুই তিনজন বন্ধু
ঠেলে ঠুলে বাসর ঘরে ঢুকাচ্ছে নিলয়ে কে।
যাক অবশেষে বাসর ঘরে এন্ট্রি হল বরের।
আমি খাট থেকে নেমে গিয়ে সালাম করলাম।
বিয়ের আগে বাসর রাতে স্বামীর সাথে
এটা করবো ওটা করবো কত প্ল্যান
করে রেখেছিলাম,কিন্তু সব প্ল্যানে জল ঢেলে দিয়ে
নিলয় বলল,সারাদিন তোমার উপর দিয়ে
অনেক ধকল গেছে তাই আজকে ঘুমিয়ে পড়।
আজকে বিয়ের ৫দিন হল কিন্তু এখন পর্যন্ত
নিলয় আমাকে একটি বারের জন্য স্পর্শ করেনি।
তাই আজকে সিদ্ধান্ত নিলাম সব গল্পে
রাজ কন্যাকে নেওয়ার জন্য রাজ পুত্র আসে।
আমার গল্পে না হয় রাজ কন্যা আসবে
রাজ পুত্রকে নেওয়ার জন্য।
~~~~
~~~~
নিলয় বাসা থেকে বের হওয়ার পর
তাকে সারপ্রাইজ দেওয়ার জন্য ১০১টা
মোমবাতি জ্বালালাম রুমে।মোমবাতি
জ্বালাচ্ছি আর ভাবছি আমি যে দস্যি মেয়ে
কখন না জানি বাসায় আগুন ধরিয়ে দেই।
তখন স্বামীর সাথে প্রেম না করে প্রেম
করতে হবে ফায়ার সার্ভিসের পানির সাথে।
রাত প্রায় ২টা বাজে এখনো বাসায় আসছেনা নিলয়।
আমার সারপ্রাইজের মোমবাতি গুলো
নিভে গেছে অনেক আগে,ফোনটাও করতে পারছিনা,ফোনটা
রেখে গেছে বাসায়।চিন্তায় অস্থির হয়ে গেলাম আমি।
একা একা বসে থাকতে আর ভাল লাগছেনা,
তাই একটা কফি বানিয়ে বাসার বারান্দায়
বসে খাওয়ার জন্য বের হলাম।বারান্দায়
এসে দেখি নিলয় মাথা নিচ দিকে
দিয়ে বসে আছে।আমাকে দেখে উঠে দাড়ালো নিলয়।
>দরজা নক না করে এখানে বসে আছো কেন?জানো কত চিন্তা হচ্ছিল তোমার জন্য?
>তুমিইতো বলেছিলে যদি ফোচকা,হালিম না আনতে পারি বাসায় ডুকতে দিবেনা তাই আর নক করিনি।
আমি আর নিজেকে নিয়ন্ত্রণে রাখতে পারলামনা
জড়িয়ে ধরলাম নিলয়কে।
>তুমি কি বুঝতে পারোনা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি?
>আমি জানি নীরা তুমি আমায় অনেক ভালবাস
>তাহলে আমাকে এড়িয়ে চল কেন?
>যখন ছোট ছিলাম,তখন দেখতাম
আমার মা আমার বাবার সাথে অনেক
ঝগড়া করতো,কখনো তারা হাসি খুশি ছিলনা,
তাই একদিন আমার বাবা মা`কে ডিভোর্স দিয়ে দিল,
তখন থেকে আমার মনে একটা ধারণা
জন্ম নিল যে,সব মেয়েরাই বোধহয়
তার স্বামীর সাথে ঝগড়া করে তাই
কখনো তোমাকে স্পর্শ করার সাহস হয়নি আমার,
কিন্তু বিশ্বাস কর নীরা আমি তোমাকে অনেক ভালবাসি।
>আমিও তোমাকে এই কয়েক দিনে
অনেক ভালবেসে ফেলেছি নিলয়,আমি কখনো
তোমার সাথে ঝগড়া করবোনা,কিন্তু
আর কখনো আমাকে এড়িয়ে চলবেনাতো?
.
এখন আর কথা বললনা নিলয়,আমাকে
জড়িয়ে নিল তার বুকের মাঝে।
আমিও সাড়া দিলাম নিলয়ের ডাকে।
যখন কোন মানবের ডাকে মানবী সাড়া দেয়
তখন তার মাঝে একটা অজানা অদ্ভূত অনুভূতির সৃষ্টি হয়,যা বোঝানো যায়না কাউকে।
Best Love Story
Open For All Lover
22 January, 2016
মানবের ডাকে মানবীর সাড়া
শেষ হয়েও হয়নি শেষ
আজ বেশিই মেঘার কথা মনে পরছে।
মনে পরবেইনা কেন,
আজকে যে আমার মেঘা আমাকে
ছেড়ে চলে গিয়েছে।
৩ বছরের এত কস্ট করে পানির
ফোটার মত টুপ টুপ করে জমানো
ভালবাসা গুলা একঝাপ্টা বন্যা
দিয়ে ভাসিয়ে দিয়ে গেল।
আর যাওয়ার সময় দিয়ে গেল ছোট্ট
একটা শব্দ,
""ভাল থেক"".
আচ্ছা ভাল থেক বললেই কি ভাল
থাকা যাই?
যাই না।
.
ওর সাথে কাটানো সব স্মৃতির কথা
মনে পরে যাচ্ছে।
কেন এমন হল??
এই সব উত্তর সব সময়ই উত্তরি থেকে
যাই।
মাঝে মাঝে গলা ফাটিয়ে বলতে
ইচ্ছা করে,
হা মেঘা আমি সত্যি ভাল আছি।
অনেক ভাল আছি।
.
সবার জীবনের মত আমার জীবনেও
প্রেম এসেছিল।
কিন্তু সেই ভয়ে আর ইচ্ছা জাগেনি
প্রেম করার।
প্রেম আর ভালবাসার মাঝে সত্যিই
একটা আলাদা পার্থক্য আছে।
প্রেম বার বার আসে আর ভালবাসা
একবারি আসে।
আমার জীবনেও এসেছিল,
মেঘার ভালবাসা।
.
মেঘার দোষ দিয়েই আর। লাভ কি??
পরিবারের বড় মেয়ে হয়ে কিইবা
করার ছিল ওর,
কোন বেকার ছেলের হাতেতো
আর তুলে দিবেনা তাকে।
তাই ভাল ছেলে দেখে মেঘার
বিয়ে দিয়ে দেই।
এর মাঝে মেঘা যে আমার সাথে
যোগাযোগ করেনি তা নয়,
অনেক বারই ফোন দিত কিন্তু আমিই
আর কথা বলিনি।
কি লাভ অন্যের প্রিয়সীর সাথে
কথা বলে।
.
সব কিছু হারিয়ে যখন একা হয়ে
যাচ্ছিলাম তখন পরিবার থেকে
জোর করেই দেশের বাইরে
পাঠিয়ে দিল আমাকে।
আমিও আর না করিনি।
কিছু না হলেও দুরে গিয়ে মেঘার
কথা ভুলে থাকতে পারব।
তাই রাজি হয়ে গেছিলাম।
.
অনেক বছর পর নিজের দিকে
তাকিয়ে দেখলাম,
সেই আগের সে আর আমি নেই,
গায়ে এখন কোর্ট আর ফরমাল ড্রেস
থাকে আমার।
আজ মেঘাকে ডেকে বলতে ইচ্ছা
করছে দেখ সেই বেকার আর এখন
বেকার নেই।
এখন তোমার মত হাজার মেয়েকে
বসিয়ে খাওয়াইতে পারে।
কিন্তু সেই হাজার মেয়ের মাঝে
তোমার ভালবাসা পাবনা বলে আর
বিয়েও করিনি।
.
কয়েক বছর পর আজ দেশে আসলাম।
বাবা মা ভাই বোন সবাই আজ খুশি।
কিন্তু আমার মন যে আজও মেঘাকে
খুজে বেরায়।
মনগুলা বেশ বেহায়া হয়,
যার উপর মন চলে যাই তার উপর
থেকে সহজে মন আর তোলা যাইনা,
আর যদি তোলা যাই তবে সেটা
ভালবাসা থাকেনা।
.
কয়েকদিন থেকেই মা বাবা বেশ
জোরাজুরি করছে বিয়ের জন্য
কিন্তু মা বাবাকে কি করে
বোঝাবো যে আমার মেঘাকেই
চাই।
আমি মেঘাকে ভালবাসি।
কিন্তু মা বাবা শুনতে নারাজ।
বাবা মা বলল যে চলে গেছে
তাকে নিয়ে ভেবে কি লাভ??
তাই আমিও দেখলাম যে যাওয়ার
সেতো যাবেই তাইলে কেন তার
কথা ভেবে আমি এমন করব।
তাই ইচ্ছারর বিরুদ্ধেই গেলাম
মেয়ে দেখতে।
.
যথাসময়ে মেয়ে আমাদের সামনে
আনা হল।
কিন্তু আমি মেয়ের মুখ না দেখেই
হা করে দিলাম।
কিন্তু সবার কথাই আমাকে আর
মেয়েটিকে আলাদা ঘরে কথা
বলতে দেওয়া হল।
আমি মেয়েটারর দিকে ঘুরে
তাকালাম নাহ।
কেন জানি মেঘার ভালবাসার
জোর আমাকে ওর দিকে তাকাতে
দিচ্ছে নাহ।
মন থেকে মনে হচ্ছে কেও আমাকে
ভেতর থেকে বলছে তুই মেঘাকে
ভালই বাসিস নাহ।
তাই মেয়েটিকে না দেখেই
বললাম,
--আমি আপনাকে বিয়ে করলেও বউ
এর অধিকার দিতে পারবনা।
--তাইলে কাকে অধিকার দিবেন??
মেঘাকে??
.
মেয়েটির কন্ঠস্বরটি বেশ চেনা
চেনা লাগল।
ঘোমটা তুলেই মেয়েটি আমাকে
চোখ রাঙালো।
একি,
এত আমার মেঘাই।
সেই মেঘা যাকে ৫ বছর আগেই
রেখে চলে গেছিলাম বাইরে।
.
--তুমি??
--তো কাকে ভেবেছিলে??অন্য
মেয়েকে??
খেয়ে ফেলব অন্য মেয়েকে বিয়ে
করলে।
--মানুষ থেকে রাক্ষসী হইলা কবে??
--এখনো হয়নি কিন্তু হব বিয়ের পর।
--কে বিয়ে করছে??তোমাকে তো
আমি বিয়েই করব না।তুমি আমার
সাথে এমন করলে কেন??
--এমন না করলে আজ কি তোমাকে
পেতাম??
আমিই তোমার পরিবারকে এমন
করতে বলেছিলাম।
--বেশ করেছো।কিন্তু তোমাকে
আমি বিয়ে করব নাহ।
--কেন কেন??
--কেন আবার,তুমিতো রাক্ষসী
একটা।
--তোমার জন্য না হয় রাক্ষসী
থেকে আবার মানুষই হব।
.
আর কথা না বারিয়ে ওকে বুকে
জরিয়ে নিলাম।
এত বছরের জমানো ভালবাসা সব
দিয়ে দিব মেঘাকে।
মেয়েরা এমন কেন হয়??
সব কিছুই করতে পারে ভালবাসার
মানুষকে পাবার জন্যে।
সব দিক থেকে মনে হচ্ছে শেষ
হয়েও হয়নি শেষ।
19 January, 2016
চল বৃষ্টিতে ভিজি…
ধরা খাওয়া ব্রেকাপ কাহিনী
ধার করা এক মর্মান্তিক ধরা খাওয়া ব্রেকাপ কাহিনী
.
লিজা আর জাহিদ এক চমৎকার কাপল। একজন আরেকজনকে ওরা প্রচণ্ড ভালবাসে। ঘোরাঘুরি, হ্যাং আউট, রেস্টুরেন্ট এ খাওয়া ইত্যাদি করে খুব সুন্দর কাটছিল ওদের দিন। কিন্তু কপালে সুখ সবার সহ্য হয়না।
.
একদিন লিজা জানতে পারে জাহিদ আরেকটি মেয়ের সাথে নিয়মিত যোগাযোগ করে, অনেকটা প্রেমের মতই ব্যাপার।
.
জাহিদের এই বিশ্বাসঘাতকতায় প্রচণ্ড কষ্ট পায় লিজা। কোনভাবেই মেনে নিতে পারেনা লিজা ব্যাপারটা। শেষপর্যন্ত লিজা বাধ্য হয় জাহিদের সাথে ব্রেকাপ করতে। জাহিদ নিজের ভুল বুঝতে পেরে মাফ চায় লিজার কাছে। কিন্তু দ্বিতীয়বার আর জাহিদকে বিশ্বাস করতে রাজি হয়না লিজা।
.
প্রচণ্ড কষ্ট নিয়ে জাহিদকে ভুলতে শুরু করে লিজা, কিন্তু এ যে সত্যিকারের
# ভালবাসা , তাই চাইলেও জাহিদকে ভুলতে পারেনা লিজা। ওদিকে জাহিদের গতিবিধি সন্দেহজনক মনে হয় লিজার। জাহিদ প্রায়ই লিজার বাসার নিচে এসে বসে থাকে। মাঝেমাঝে জাহিদের সাথে সন্ত্রাসীর মত দেখতে একটা বন্ধুও থাকে।
.
একটু আতঙ্কিত বোধ করে লিজা। দীর্ঘদিনের প্রেম জাহিদের সাথে। ওদের ঘনিষ্ঠতার অনেক প্রমাণই রয়ে গেছে জাহিদের কাছে। তাহলে কি জাহিদ এসব নিয়ে কিছু করতে চাইছে? প্রতিশোধ নিতে চাইছে লিজার উপর? </3
.
চোখে অন্ধকার দেখতে শুরু করে লিজা। এমন কিছু হলে ওর # আত্মহত্যা করা ছাড়া কোন উপায় থাকবেনা। ওদিকে লিজার বাড়ির নিচে জাহিদের আসা বেড়ে যায়। এখন জাহিদ মাঝেমাঝেই লিজার বারান্দার দিকে তাকিয়ে থাকে। আতঙ্ক বাড়তে থাকে লিজার।
.
উপায়ান্তর না দেখে লিজা ওর বান্ধবী শায়লার সাথে যোগাযোগ করে। সবকিছু দেখে শায়লাও একই ব্যাপার বলে আন্দাজ করে। অনেক শলাপরামর্শ করে পুলিশের কাছে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেয় লিজা।
.
পুলিশের এক গোয়েন্দার নজরদারিতে লিজার অভিযোগের সত্যতা বেরিয়ে আসে। দিনরাত দীর্ঘ সময় লিজার বাড়িতে নজরদারি করার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় জাহিদকে।
.
অতঃপর পুলিশের রিমান্ডে নেয়া হয় জাহিদকে। প্রচণ্ড মারের মুখে জাহিদ হাউমাউ করে কাঁদতে শুরু করে। আর কখনো লিজার বাড়ির আশেপাশে যাবেনা বলে স্বীকার করে জাহিদ। কিন্তু কি ছিল জাহিদের মতলব তা জিজ্ঞেস করে পুলিশ।
.
পাছা ডলতে ডলতে # হাউমাউ করে কাঁদতে থাকে জাহিদ। আর স্বীকার করে ব্রেকাপ হলেও লিজার বাড়ির ওয়াইফাই এর পাসওয়ার্ড জানা ছিল জাহিদের। তাই ওর বাড়ির নিচে বসে
# ওয়াইফাই চালাইত ফ্রিতে, 
লিজার কোন ক্ষতি করার প্ল্যান ওর ছিলনা।
তাই আপনারাও রেডি থাকুন ধরা খাওয়া খেলে দেওয়া গল্প নিয়ে, খুব শীঘ্রই ইনবক্স খুলে দেওয়া গল্পের জন্য!!
03 January, 2016
ভালবাসার গল্প-কেউ জানবে না
প্রেমিকা জিজ্ঞেস করলো,, -আচ্ছা
অন্য কারো সাথে আমার বিয়ে হয়ে
গেলে কি করবে ?
-ভুলে যাবো,, ছেলেটা উত্তর দিলো।
ছেলেটার উত্তর শুনে মেয়েটি রাগে
অন্যদিকে মুখ ঘোরালো।
ছেলেটি আবার বলল,,
-তুমিও আমাকে ভুলে যাবে,সবচেয়ে
বড় কথা l
আমি যত দ্রুত তোমাকে ভুলে যাবো,
তার চেয়েও বেশি দ্রুত
তুমি আমাকে ভুলে যাবে,, -কিরকম?
প্রেমিকা প্রশ্ন করলো। ছেলেটি
বলতে শুরু করল,,
"মনে করো বিয়ের প্রথম তিনদিন তুমি
একধরনের ঘোরের মধ্যে থাকবে ।
শরীরে গয়নার ভার, মুখে মেকআপ এর
প্রলেপ,
চারেদিক থেকে ক্যামেরার ফ্লাশ,,
মানুষের ভিড়,,
তুমি চাইলেও তখন আমার কথা মনে
করতে পারবে না।
'আর আমি তখন তোমার বিয়ের খবর
পেয়ে
হয়ত কোন বন্ধুর সাথে উল্টাপাল্টা
কিছু খেয়ে পরে থাকবো l আরএকটুপর
পর তোমাকে হৃদয়হীনা বলে
গালিদিব,
আবার পরক্ষনেই পুরাতন স্মৃতির কথা
মনে করে বন্ধুকে জড়িয়ে ধরে কাঁদবো।
"বিয়ের পরের দিন তোমারআরো ব্যস্ত
সময় কাটবে।
স্বামী আর মিস্টির প্যাকেট, এই দুটো
হাতে নিয়ে
তুমি বিভিন্ন আত্মীয় স্বজনের বাসায়
ঘুরে বেড়াবে।
আমার কথা তখন তোমার হঠাৎ হঠাৎ
মনেহবে।
এই যেমন স্বামীর হাত ধরার সময়, এক
সাথে রিকসায় চড়ার সময়। 'আর আমি
তখন ছন্নছাড়া হয়ে ঘুরে বেড়াব,,
আর বন্ধুদের বলব বুঝলি দোস্ত, জীবনে
প্রেম ভালোবাসা কিছুই নাই,,
সবধোয়া,, সব বুংগা,বুংগা। "পরের
একমাসে তুমি হানিমুনে যাবে , নতুন
বাসা পাবে , শপিং , ম্যাচিং , শত
প্লান,
আর স্বামীর সাথে হালকা মিষ্টি
ঝগড়া।
তখন তুমি বিরাট সুখে ,,
হঠাৎ আমার কথা মনে হলে ভাববে ,
আমার সাথে বিয়ে না হয়ে বোধহয়
ভালই হয়েছে।
'আমি ততদিনে বাপ, মা, বন্ধু কিংবা
বড় ভাইয়ের ঝাড়ি খেয়ে
মোটামোটি
সোজা হয়ে গিয়েছি। ঠিক করেছি
কিছু একটা কাজ পেতে হবে,,
তোমার চেয়ে একটা সুন্দরী মেয়ে
বিয়ে করে
তোমাকে দেখিয়ে দিতে হবে।
সবাইকে বলব , তোমাকে ভুলে গেছি।
কিন্তু তখনও মাঝরাতে তোমার
এসএমএস গুলো
বের করে পরবো আর দীর্ঘশ্বাস ছাড়ব ।
"পরের দুই বছর পর তুমি আর কোন
প্রেমিকা, কিংবা
নতুন বউ নেই। মা হয়ে গিয়েছো,,
পুরাতন প্রেমিকের স্মৃতি , স্বামীর
আহ্লাদ,
এসবের চেয়েও বাচ্চার ডায়াপার,
হামেরটিকা এসব নিয়ে বেশি
চিন্তিত।
অর্থাৎ তখন আমি তোমার জীবন থেকে
মোটামুটি পারমানেন্টলি ডিলিট
হয়ে
যাবো।
'এদিকে আমিও একটা কাজ পেয়েছি,,
বিয়ের কথা চলছে। মেয়েও পছন্দ
হয়েছে।
আমি এখন ভীষণ ব্যাস্ত।
এবার সত্যিই আমি তোমাকে ভুলে
গিয়েছি।
শুধু রাস্তা ঘাটে কোন কাপল দেখলে
তোমার কথা মনে পড়বে । কিন্তু তখন
আর দীর্ঘশ্বাসও আসেবে না। ,,,,
-
-
এতদূর পর্যন্ত বলার পর ছেলেটি দেখল
প্রেমিকা ছলছল চোখ নিয়ে
ছেলেটির দিকে তাকিয়ে আছে।
মুখে
কোন কথা নেই। ছেলেটি ও চুপচাপ।
একটু পর প্রেমিকা বললো,,
"তবে কি সেখানেই সব শেষ??
ছেলেটি বলল, "না।
কোন এক মন খারাপের রাতে তোমার
স্বামী নাক ডেকে ঘুমুবে। আমার বউও
ব্যস্ত থাকবে নিজের ঘুমরাজ্যে।
শুধু তোমার আর আমার চোখে ঘুম
থাকবেনা,
সেদিন অতীত আমাদের দুজনকে
নিঃশ্বদে কাঁদাবে। সৃষ্টিকর্তা
ব্যাতিত যে কান্নার কথা কেউ
জানবেনা, কেউ না